পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের কাছে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রশ্ন, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে পথে নেই কেন?

Newsbazar24:দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে হাজার হাজার চাকরি বাতিল। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছিল তা প্রমাণিত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের নেতাদের সীমাহীন লোভের বলি হাজার হাজার শিক্ষক।
প্রশ্ন উঠলো কেন এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে পারল না। নাকি সীমাহীন দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতেই এই ব্যবস্থা, এটাও প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দাবি কাদের আড়াল করার জন্য এত পরিকল্পনা সরকারের? অনেক অনেক প্রশ্ন উঠে গেল এবার।
সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল।
অর্থাৎ ২৫ হাজার ৭৫২জনের চাকরি বাতিল। তবে আশার কথা একটাই যে আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ মিলবে। ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা ছিলেন তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারা শিক্ষকদের। কাল থেকে কি হবে? কিভাবে সংসার চলবে তার কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
তবে কার্যত চাকরিহারা শিক্ষকরা প্রশ্ন তুললেন যে বুদ্ধিজীবীরা বার বার সমাজকে পথ দেখায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁরা এখন কেন নীরব? তবে কি শাসক চটে যেতে পারে এই আতঙ্কে ভুগছেন বুদ্ধিজীবীরাও?
রায় শোনার পরে চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, আমরা গভীরভাবে আশাহত ও মর্মাহত। …ভারতের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করেছে, তদন্ত করে আলাদা করেছে তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই চাকরি গেল? তাহলে তো তারা দায়ী যারা পরীক্ষাটা নিয়েছিল। ওয়েস্টবেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আমরা তো ব্যর্থ নই। আমরা তো অযোগ্য নই। যারা চাকরি নিয়েছে, যারা সিলেকশন পদ্ধতিতে ছিল তারা ব্যর্থ। তারা সঠিকভাবে নিতে পারেনি। তাদের চাকরি কেন বাতিল করা হল না? আমরা যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছি। আমাদের কেন চাকরি বাতিল হল? পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে আপনারা বলুন। যারা যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তারা এর উত্তর দিন। আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাদের মহান কমিশন থেকে যেমন নির্দেশ এসেছে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। যে নির্ণায়ক কথা বলা হয়েছিল সেই অনুসারে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। যারা বিভিন্ন পদে বসে রয়েছেন, আধিকারিকরা রয়েছেন তাঁদের যদি বলা হয় আপনারা আবার পরীক্ষা দিয়ে আপনি চাকরি করুন এটা কি সম্ভব?
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ফের একবার রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল। যোগ্য প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন কোন পথে চালিত হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।