Newsbazar 24:দীর্ঘ টালবাহানা চলার পর অবশেষে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল কে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হল।
দিল্লি যাওয়া আটকাতে শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও রেহাই পেল না অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার
সকালে কড়া পুলিশি পাহারায় আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে রওনা দেন পুলিশ। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছলেন শক্তিগড়ে। সেখানে অনুব্রত জলখাবার খান লুচি, তরকারি, মিষ্টি। শুধু তাই নয়, খাবার-দাবারের বিল মেটালেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তবে একটি বিষয় নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে টেবিলে ছিলেন আরও ৩ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে খেতে খেতে কথাও বলেন অনুব্রত । তিনি কিছু নির্দেশও দেন তাঁদের। প্রশ্ন উঠছে পুলিশি প্রহরা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি একসাথে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের সাথে ব্রেকফাস্ট করলেন। সূত্রের খবর,এর মধ্যে দুই ব্যক্তির নাম কৃপাময় ঘোষ, তুফান মিদ্দা। প্রথমজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। আর দ্বিতীয়জন অনুব্রতকন্যা সুকন্যার গাড়িচালক। এতেই প্রশ্ন উঠছে, এত ঘনিষ্ঠজনরা কীভাবে কড়া নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অনুব্রতর কাছে চলে এলেন? এরপর প্রাতরাশ সেরে সোজা তাকে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতাল। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, কোনও শারীরিক সমস্যা নেই অনুব্রতর। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখান থেকেই অভিযুক্ত নেতাকে নিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। বিমানবন্দরে তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। ইনহেলার নিতেও দেখা যায় তাঁকে। নেতার শারীরিক পরিস্থিতির তদারকির জন্য একজন চিকিত্সকও ছিলেন উড়ানে। এ ছাড়া ছিলেন ইডি-র আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তারা ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন।