Wednesday , 30 October 2024 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

দশভুজা মহাকালী মালদার গঙ্গাবাগে! বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইের জন্যই এই পুজো শুরু করেছিলেন

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
October 30, 2024 10:00 pm

news bazar24: এই দেবীও নাকি দশমুখী দশ ভুজা । তবে ইনি কিন্তু মা দুর্গা নন, ইনি শক্তির দেবী মা কালী । এই দেবীর দশটি মাথা, দশটি বাহু এবং দশটি পা রয়েছে। বড় কথা মূর্তির সাথে শিবের কোন অস্তিত্ব নেই। দশ হাতে অস্ত্র। দেবীর পায়ের নিচে অসুরের ছিন্ন মস্তক। ভূত চতুর্দশীর বিকেলে এই মহাকালীর সাধনায় ব্যস্ত মালদহের এক অংশের মানুষ । রীতি মেনে মহাকালীর শোভাযাত্রা মহা ধুমধাম করে এই শহরে হয়। এরপর মালদহ শহরের গঙ্গাবাগে শুরু হয় মাতৃ আরাধনা।
ইলিশবাজার ব্যায়াম সমিতির এই পুজো 88 বছরে পা দিলো । এই পুজোর ঐতিহ্য এখনও অটুট রয়েছে।

মহাকালীর এই শোভাযাত্রা তারই প্রমাণ। প্রতিমা আনতে গিয়ে চমকও দিয়েছে পূজা আয়োজক সমিতি। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, নাচের দল, ভানারা থেকে ধুনুচি নৃত্য, কান্দির রায়বেশ ও মুর্শিদাবাদ ডোগর বাজানা মুখরিত হয় গোটা এলাকা। ফুলবাড়ীতে কুমোর অষ্টম চৌধুরীর কারখানা থেকে শহর প্রদক্ষিণ করে দশভূজা মহাকালী আসেন গঙ্গাবাগের মন্দিরে। কালী পুজোর একদিন আগে, ভূত চতুর্দশীতে ইংলিশবাজার ব্যায়াম সমিতির দশমাথার এই মহাকালীর পুজো হয়। দুপুরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মেষ বলি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় প্রসাদ বিতরণ করা হয় ।

অনেকের কাছে এই মাতৃপূজা বিপ্লবীদের পূজা নামে পরিচিত। এই মহাকালী পূজা শুরু করেছিলেন জেলার বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
গঙ্গাবাগের এই পুজোর আয়োজক ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি। ১৯৩০ সালে এই সমিতি গঠিত হয়। সমিতির সভাপতি নটরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, দেশ তখন ব্রিটিশ শাসিত ছিল। বিদেশী শাসকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শহরের পুরাটুলির কিছু যুবক ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। স্থানীয় যুবকরা নিজেদের মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে একটি জিম তৈরি করেছেন।

অনুশীলন শুরু হয়। সেই সঙ্গে শক্তির আরাধনা। পূজার শুরুতে তাদের উপাসক ছিলেন দশ মাথার মহাকালী। পরে পুরাটুলি থেকে শহরের গঙ্গাবাগে পূজার স্থান পরিবর্তন করা হয়। কালীমূর্তিতেও এখানে বিশেষত্ব রয়েছে। দেবীর পায়ের নিচে অসুরের ছিন্ন মস্তক। প্রতিটি হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র রয়েছে। চণ্ডীগ্রন্থে এই মূর্তিটির উল্লেখ আছে। বিহারের বিন্দুবাসিনীতে, এই মূর্তিটিও প্রাচীনকালে পাহাড়ে খোদাই করা আছে বলেও জানা গেছে ।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা