থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আরজিকরের ৫ ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিধাননগর আদালতের সমন জারি

Newsbazar24:আর জি কর হাসপাতালের থ্রেট কালচারের অন্যতম অভিযুক্ত ৫ ডাক্তারকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করল সাংসদ-বিধায়কদের জন্য তৈরি বিশেষ আদালত। সূত্রে জানা গেছে ওই ৫ ডাক্তার, আর জি কর হাসপাতালে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ঐ ৫ ডাক্তারের নাম ডাঃ বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, অভিক দে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ সুশান্ত রায়, ডাঃ কৌশিক বিশ্বাস এবং ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯-টি ধারা লঙ্ঘনের অপরাধ আনা হয়েছে। ডা: কুনাল সাহা কে মারধর ও বেআইনিভাবে আটক রাখার অভিযোগে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা সূত্রপাত রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচন
ঘিরে। ঘটনার শুরু ২০২২ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের দিন। ভোট গণনার সময় এই ৫ ডাক্তার এবং তাদের বন্ধু ডাক্তাররা মিলে হঠাৎ আক্রমণ করে ডাঃ সাহাকে। তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। শাসক দলে চাপে পড়ে পুলিশ অভিযোগ ধামাচাপা দেয়। এরপর ডাক্তার সাহা আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন অভিযুক্ত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হয়। ডাঃ সাহা ছাড়াও তার পক্ষে সাক্ষ্য দেন আরও দু’জন ডাক্তার- ডাঃ তাপস ফ‍্যানসিস বিশ্বাস এবং ডাঃ শারদত মুখার্জি। সাক্ষ্য-শুনানির পর বিধাননগর আদালত সমন জারি করেছে ৫ ডাক্তারের বিরুদ্ধে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এই ৫ ডাক্তারদের জামিনের জন্য হাজিরা দিতে। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছর বা আরও বেশি সময় হাজতবাস করতে হতে পারে এই ডাক্তারদের।
কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডাঃ কুণাল সাহা অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিককালে আরজিকর-এর ঘটনার বহু আগেই,এই বিরুপাক্ষ বিশ্বাস আর অভিক দে-র মত ডাক্তাররা আরজি করে থ্রেট কালচার চালাতেন। দু’বছর আগে যখন তাঁরা আমাকে আক্রমণ করেন তার আগে থেকেই তাদের এই হুমকি চলত। রাজ‍্য সরকারের সমর্থন তখনও ছিল ওঁদের দিকে। এখনও এইসব দুর্নীতিগ্রস্ত চিকিৎসকদের আড়াল করছে সরকার। যতদিন না এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে, এঁদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে,চলবে।”