Newsbazar 24:বাংলাদেশবাসীর স্বপ্ন অবশেষে পূরন হতে চলেছে। প্রায় এক দশক পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। এই মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য দেশবাসীকে অনেক কাট খড় পোড়াতে হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় দুর্ভোগ, যানজট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। গন্তব্যে যেতে মানুষের রুদ্ধশ্বাস ছোটাছুটি। ঢাকাবাসীর কাছে এই স্মৃতি সুখবর ছিল না। মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত সাত জাপানির মৃত্যু হয়েছিল।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে । এদিন মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মেট্রোরেল। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে এটি। পুরোদমে চালু হলে মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে বাংলাদেশের মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও পরে মেয়াদ বাড়ানো হয় ।মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মেট্রোরেলের মোট স্টেশন ১৭টি। এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২১,২৬ কিলোমিটার। এর মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
মেট্রোরেলের প্রথম টিকিট কেটে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেলে চড়বেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং জাইকার কর্মকর্তারা। এছাড়া মেট্রোরেল নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠান হবে, সেখানেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আপাতত ছয় কোচবিশিষ্ট মেট্রোরেলে মোট আসন সংখ্যা ৩০৬টি। মাঝের চারটি কোচের প্রতিটিতে আসন সংখ্যা ৫৪টি, ট্রেইলর কোচের প্রতিটিতে আসন সংখ্যা ৪৫টি।