news bazar24:
বর্ষার মরশুম চলছে, যার কারনে এক দিকে যেমন কাঁদা জলের সমস্যা তেমনি আর একদিকে তত্তড়িয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। গত বছরও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। তবে চিকিৎসকদের মতে, চলতি বছরে সেই পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হচ্ছে। ভাইরাল জ্বরের সাথে সাথে ডেঙ্গি হচ্ছে যার কারণে অনেকেই প্রথম দিকে অবহেলা করছেন এর ফলে পরবর্তী সময়ে রোগীর অবস্থা গুরুতর আকার ধারণ করছে।
শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেরই এই ডেঙ্গি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ,তবে একদিকে যেমন মৃত্যু হয়েছে তেমনি অন্যদিকে সুস্থতার হার ও যথেষ্ট। ডেঙ্গি রোগের অন্যতম লক্ষণ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, হাত পা ব্যথা, বমি বমি ভাব, মলের সঙ্গে রক্তপাত ইত্যাদি।
এই ধরনের লক্ষণগুলি যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। অনেকেই জ্বর সেরে গেলে কিংবা ডেঙ্গি সেরে গেলে সুস্থ হয়ে যান এরকমই ভাবেন, কিন্তু অনেকেই আবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরে অসুস্থ হয়ে যান।
সেই কারণেই ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই শরীরের যত্ন নিতে হবে। এই বিষয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান,” জ্বর সেরে যাওয়ার পরেই অনেকেই মনে করেন সুস্থ হয়ে গেছেন কিন্তু আসলে তারপরেই কিন্তু বিপদ শুরু হয়। ডেঙ্গির ফলে সংকটজনক অবস্থা হয়। জ্বর কমে যাওয়ার দু থেকে সাত দিন পর থেকে এই সময়টি খুব সাবধানে থাকা প্রয়োজন।”
শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, দুর্বলতা ,বমি এই সমস্ত লক্ষনগুলি যদি জ্বর কমে যাওয়ার পরেও থাকে তবে অবশ্যই হাসপাতালে যাওয়া দরকার। জ্বর কমে যাওয়ার পরে অবশ্যই রোগীকে কিছু বিষয়ের সতর্ক থাকতে হবে।
১.জ্বর কমে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর ওপর নজর রাখতে হবে।
২.ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, সেই কারণে শরিলে কতটা জল আছে সেটা মাপার জন্য পরীক্ষা করতে হবে পিসিভি। এছাড়াও প্লেটলেট কমে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়েও পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
৩. ডেঙ্গি হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় সেই কারণে এই সময় পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে, সেই সঙ্গে শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।