জমি জটের কারনে ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং মেল ফিরছে না শিলিগুড়ি জংশনে

Newsbazar24:জেলার নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বহু ঐতিহ্যবাহী প্রায় দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন দার্জিলিং মেলকে পুনরায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিতর্ক দানা বেঁধে উঠেছে তবে অন্যদিকে এর স্বপক্ষেও শিলিগুড়ির অধিকাংশ মানুষ।
যদিও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দার্জিলিং জেলা তো বটেই, জলপাইগুড়ি জেলার একাংশের বাসিন্দা বেজায় খুশি হবেন এ কথা বলা বাহুল্য। তবে হলদিবাড়ি সহ সংলগ্ন এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন।
তবে, আপাতত রেলের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মূলত এই রুটে ডবল লাইন না থাকায়। এছাড়াও আটকে রয়েছে চিকেন নেকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একাধিক রেলপ্রকল্প। রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতায় উচ্ছেদ জটে আটকে রয়েছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গুলো বলে অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষের।
রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আজ থেকে প্রায় ১৪৬ বছর আগে শিলিগুড়ি থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল দার্জিলিং মেলের। ফের ট্রেনটিকে শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তবে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের পরিবর্তে শিলিগুড়ি জংশন থেকে ট্রেনটিকে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই প্রস্তাবে রেল বোর্ডও সায় দিয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাচ্ছে না শিলিগুড়ি জংশন থেকে ঠাকুরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন না থাকার জন্য। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলছেন, ‘রেলপ্রকল্পের ক্ষেত্রে বর্তমানে অর্থ সমস্যা নয় কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি। বাগডোগরা রুটে রেলের নিজস্ব জমি থাকলেও ডাবল লাইনের কাজ আটকে রয়েছে জমি জবরদখল হয়ে যাওয়ায়।’সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন জমিজটের কারণে রাজ্যে একাধিক প্রকল্প আটকে রয়েছে এই রাজ্যে।
ডাবল লাইন প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন,রেলের সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারের ভূমিকা ইতিবাচক হওয়া উচিত।কারন, রেলপ্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হয়। কিন্তু বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়ে তৃণমূল সরকার মানুষের কল্যাণে নজর দিচ্ছে না।’ যদিও বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গ টেনে এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা গৌতম দেব। তাঁর বক্তব্য, ‘বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে প্রথমে বিনামূল্যে ২৮ একর জমি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ১১৬ একর দেওয়া হয়েছে সরকারি দরে। ফলে রাজ্য সরকার উন্নয়নের পক্ষে নয়, এধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। তাছাড়া যে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রেই সরকারের সঙ্গে সরকারের কথা হয়।’