Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

জন্মাষ্টমী সম্পর্কে কিছু না জানা তথ্য!জানুন দেশ-বিদেশের এই উৎসব সম্পর্কে

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

  কল্পনা চাওলা , গোকুল (news bazar24) :  আজ হিন্দুদের সবচাইতে প্রিয় পবিত্র উতসব শুভ জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি। সারা দেশ জুড়ে এই অনুষ্ঠান চললেও বিশেষ করে গোবলয়ে ও উত্তর ভারতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে । মথুরা ও বৃন্দাবনে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে  উৎসব ।  আর ইস্কনের প্রচার ও কল্যাণে  সারা দেশ শুধু নয়, পৃথিবী র বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন এই উতসব দেখতে। সবমিলিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে সারা দেশ। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে  পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মায়াপুরের ইসকনের মন্দির ও নবদ্বীপ ধামের বিভিন্ন স্থানে শুভ জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে অনারম্বর ভাবে। এই জন্মাষ্টমী তিথিতে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশবাসীকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তবে এই জন্মাষ্টমীকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে, কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।

কখন জন্মাষ্টমী পালিত হয় ?

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

জন্মাষ্টমী সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য দেওয়া হল :-

ক) অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী তিথি পালিত হয়। মনে করা হয়, ৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন যাদব বা ঘোষ বংশের অবতার।

খ) প্রতি বছর রাখী বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পরে সারা ভারতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়। দক্ষিণ ভারতে পালন করা হয় গোকুলাষ্টমী। এবং মহারাষ্ট্রে এই উৎসব পালিত হয় দহি হান্ডি ফাটিয়ে।

গ) সংষ্কৃত শব্দ মতে কৃষ্ণ শব্দের  অর্থ হল কালো। আগে কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং  সাধারণত কালো  রাখা হত তবে এখন নীল দেখানো হয়ে থাকে। তাঁর রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাঁকে বংশীবাদক এক বালকের বেশে দেখা যায়।

ঘ) অনেক জায়গায় শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনের মানুষের মনের মধ্যে থাকে কৃষ্ণ। আর সেই কারনেই  এই উৎসব সবচেয়ে বড় করে পালিত হয় এই উতসব।

ঙ) শ্রীকৃষ্ণের মোট ১০৮টি নাম রয়েছে। মথুরায় কমপক্ষে ৪০০টি মন্দির রয়েছে যেখানে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয়।আর রোজ তিন বেলা ১০৮ নামের ভজন করা হয়।

চ) কৃষ্ণের নাম নিয়ে যে নৃত্য রয়েছে তার নাম রাসলীলা।এই রাস উৎসবও নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন জায়গায় পালন করা হয়।

ছ)  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পরাস্ত করতে কাউন্সিলিং স্বরূপ অর্জুনকে যে কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, সেই কৃষ্ণের বাণী পরে শ্রীমদ্ভগবত গীতা নামে পরিচিত পেয়েছে।

জ) ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে জন্মাষ্টমী উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। সেখানকার শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে ভক্তেরা পুজো দিয়ে উৎসব পালন করেন।

জ) ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুরনো ঢাকায় গিয়ে শেষ হয়। ১৯০২ সালে এই অনুষ্ঠান চালু হয়েছিল। এরপরে পাকিস্তানের দখলে বাংলাদেশ চলে গেলে ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৮৯ সাল থেকে ফের তা চালু হয়েছে। এদিন বাংলাদেশে ছুটি থাকে।

 

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin