news bazar24 : মা দুর্গার চার দিনের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ও প্রধাণ পুজা হল মহাষ্টমী। অনেকে সন্ধি পুজাকে প্রধান পুজা বললেও অধিকাংশ মানুষ অষ্টমী পুজোকেই প্রধান পুজা বলে জানেন। শরতকালের পুজাই হোক বা বসন্ত কালের পুজা, চারদিনেই দেবীর অঞ্জলি হয়, কিন্তু অষ্টমী তিথির অঞ্জলির মাহাত্ম্যই আলাদা।
এ দিন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য ছোট থেকে বড় সবাই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখান।
শিব পুরাণ মতে মহাষ্টমীতেই দেবী দুর্গাকে নানা ধরনের অস্ত্র, পদ্মের মালা, রত্নহার দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন স্বর্গের দেবতারা। খালি এই নয়, সেই সময় ভাদ্র মাসের কৃষ্ণানবমী তিথিতে দেবতাদের তেজ পুঞ্জীভূত হতে শুরু করে। সেই পুঞ্জীভূত তেজ আশ্বিনের সপ্তমী তিথিতে বিশেষ রূপ ধারণ করে। সেই তেজের সাহায্যেই অষ্টমী তিথিতে দেবী মহিষাসুরমর্দিনীকে অসুর বধের জন্য সাজিয়ে তুলেছিলেন দেবতারা।সেই জন্যই এই অষ্টমী তিথিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে হিন্দু শাস্ত্রে। অনেক ক্ষেত্রেই এমনই নিধান দেওয়া আছে যে, এমন কিছু কাজ রয়েছে যা মহাষ্টমীতে করতে পারলে জীবনের অনেক সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
তাই এই তিথিতে মায়ের কৃপা পেতে কী কী কাজ করবেন তা একবার জেনে নিন –
১) অষ্টমীর সকালে পরিষ্কার বা নতুন বস্ত্র পরে দুর্গা চালিশা পাঠ করুন।এবং সারাদিন দুর্গা চালিশা পাঠ শুনুন।
২) এ দিন সন্ধ্যার পর মায়ের সামনে ১০৮টি পদ্ম ফুল নিবেদন করুন।অভাবে আটটি পদ্ম ফুল অর্পণ করুন।
৩) অষ্টমীর দিন যে কোন পুজা মণ্ডপে স্নান করে গিয়ে মা দুর্গার চরণে একটি কড়ি রাখুন। অষ্টমীর পুজো শেষ হলে সেই কড়ি বাড়িতে এনে ঠাকুরের আসনে রেখে দিন। অভাবে বাড়িতে মা দুর্গার ছবির সামনে রাখুন।
৪) এই দিন কোনও বাচ্চা মেয়েকে আপনার সাধ্যমত এবং তার পছন্দ মতো উপহার দিয়ে তার মুখে হাসি ফোটান ফলে আপনার মুখেও হাসি ফোটাবে মা দুর্গা ।
৫) অষ্টমীর রাতে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে পরিষ্কার গোটা কলাপাতায় চন্দন দিয়ে ১০৮ বার মায়ের নাম লিখুন।এটা আপনার ঠাকুর ঘরেও করতে পারেন । সকালে মা দুরগাকে স্মরণ করে কোনও পুকুর বা নদীতে সেই কলাপাতাটি ভাসিয়ে দিন।
৬) সন্ধিপুজোর পর যে কোন মন্দির থেকে মায়ের চরণ এ দেওয়া একটি পদ্ম ফুল এনে ঘরে রেখে দিন। যদি সম্ভব হয় সন্ধিপুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন।
৭) অষ্টমীর দিন মায়ের চরণে পদ্ম অর্পণ করার সাথে ১০৮ বার মায়ের নাম জপ করুন।
৮) অষ্টমীর দিন যে কোন সময় ১১টি অশ্বত্থ পাতায় রাম নাম লিখে বজরংবলীর মূর্তিতে পরিয়ে দিন। এর প্রভাবে অনেক সমস্যা দূর হবে।