news bazar24: পরিকল্পিতভাবে ঘরকে সাজাতে ক্যাকটাসের ব্যবহার এখন বেশি মাত্রায় দেখা যায়। এই উদ্ভিদ মরুর দেশের হলেও ভারতবর্ষের পরিবেশের সাথে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। বসতবাড়ি ও অফিস কে সাজানোর জন্য প্রতিনিয়তই ক্যাকটাসের সংগ্রহ বাড়ছে, বাড়ছে প্রয়োজনীয়তা। ক্যাকটাসের খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত যত্ন না করলেও চলে, তবে অবশ্যই কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। না রাখলে গাছটি মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্যাকটাস অত্যন্ত সুন্দর কাঁটাযুক্ত গাছ। অনেক ক্যাকটাসের কাঁটা থাকে, আবার কিছুর একেবারেই কাটা থাকে না। এই গাছটি বিভিন্ন শ্রেণীর হয়, যেমন ম্যামিলেরিয়া, হেমাটো, কিছু কিছু অর্নামেন্টাল ক্যাকটাসও হয়। আবার বর্ণময় বিশেষত কমলা, হলুদ এরকম নানা ধরনের ক্যাকটাস গাছ হয়ে থাকে। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে হবে। তবে ক্যাকটাস রাখলে কিছু জিনিসের উপর খেয়াল রাখতে হয়।
যেমন-
জলের পরিমাণ:- ক্যাকটাস মরুভূমির উদ্ভিদ তাই খুব বেশি জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। দরকার হলে একদিন অন্তর জল দিতে পারেন। তবে মাটি সম্পূর্ণ না শুকালে কখনোই ফের জল দেবেন না। আবার দীর্ঘদিন জল না দিলে জলের অভাবে গাছটি মারা যেতে পারে। সঠিক মাত্রায় জল থাকলে এই গাছটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তার সৌন্দর্যের প্রতিফলিত করে। লক্ষ্য রাখতে হবে এটির গোড়ায় জল জমে যাতে না থাকে জল জমে থাকলে গাছটিতে পচন ধরবে। ক্যাকটাসের গায়ে ছত্রাকের আক্রমণ হয় জলের স্পর্শে যে কারণে গাছে পচন ধরে।
আলো- বাতাস:- ক্যাকটাসের আলো বাতাসের প্রয়োজন আছে। ক্যাকটাস কে খোলামেলা পরিবেশে রাখতে হয়। এ কথা সত্যি।তবে শুধুমাত্র মরুভূমির কাটাযুক্ত ক্যাকটাসের ক্ষেত্রে সে কথা প্রযোজ্য। তবে অন্যান্য ক্যাকটাসের খুব বেশি রোদে কষ্ট হতে পারে।
সঠিক মাটি এবং খাদ্য:- ক্যাকটাস গাছ রোপন করার সময় একটা কথা মাথায় রাখুন যে এই গাছের ক্ষেত্রে এমন মাটি প্রয়োজন যা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। এমন ধরনের বালি মাটির টবে ব্যবহার করুন যাতে খুব সহজে জল শোষণ করতে পারে। সময়ে সময়ে সার দিতে ভুলবেন না। কারণ এটি কিন্তু গাছটির খাদ্য। যদি এই গাছটি টবে লাগান তবে টবে টবে মোটা দানার বালি, পাতাসার, সামান্য কম্পোস্ট আর হাড়গুঁড়া দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টির জল যাতে কোন ভাবে এর সংস্পর্শে না আসে। আর যদি ক্যাকটাস টি বাগানে লাগাতে চান তাহলে খেয়াল রাখতে হবে মাটির গভীরতা যাতে খুব বেশি না হয়, আর কোনক্রমে যেন ক্যাকটাসের গোড়ায় জল না জমে।