news bazar24: নভেম্বর মাস পড়তেই খেজুর গাছের মাথায় ঝুলতে দেখা যায় মাটির ঘড়া বা হাড়ি।কারন এই সময় থেকেই খেজুর গাছের রস ঝরা শুরু হয়।আর এই সময় শীতের সকালে টাটকা এক গ্লাস খেজুরের রস পান করা মানেই শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তোলা।
খালি কি তাই ? খেজুর গাছের রস শুধু খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনই জ্বাল দিয়ে খেতেও তেমন সুস্বাদু । আর এই রস দিয়ে তৈরি গুড় ও পাটালিরও তুলনা নেই।
এই রসের তৈরি দানা, ঝোলা ও নলেন গুড়ে প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ আছে । এই রসে ১৫-২০% দ্রবীভূত শর্করা থাকে, যা থেকে গুড় ও সিরাপ তৈরি করা হয়। খেজুরের গুড় যে কোন গুড় থেকে বেশি মিষ্টি, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
ঘ্রাণ ও স্বাদের জন্য ভারতীয়দের কাছে এ গুড়ের রয়েছে বিশেষ চাহিদা রয়েছে। খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফ্যাট ও মিনারেল রয়েছে। সকালে খেজুর রসের ঝোলা দিয়ে রুটি খাওয়া মানে বেশি তৃপ্তি ও স্বাস্থ্যকর।
টাটকা বা বাসী যে কোন খেজুরের রসে প্রচুর মাত্রায় এনার্জি বা শক্তি রয়েছে। একে প্রাকৃতিক ‘এনার্জি ড্রিংকসও’ বলা হয়ে থাকে। কারন এতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। খেজুরের রস আপনি গাছ থেকে নামিয়ে টাটকাও খেতে পারেন আবার বাসী টক হয়ে তাড়িও খেতে পারেন। আবার জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও খাওয়া যায়।
১) গুড়ে আয়রন বা লৌহ বেশি থাকে যা আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করবে ।
২)যাঁরা শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন, কাজকর্মে জোর পান না, খেজুরের রস তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী। রস ও গুড়—দুটোই তাঁরা খেতে পারবেন।
কখন খাবেন, কখন খাবেন না:
খেজুরের রস সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো। সারা রাত ধরে রস জমে থাকার পর সকাল সকাল সেই রস খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে সময় যত গড়াতে থাকে, তত এতে ফারমেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়া হতে থাকে। এতে রসের স্বাদ নষ্ট হয় এবং অম্লতা বাড়ে।
কি পরিমান রস খাবেন ?
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সকালে এক থেকে দুই গ্লাস রস খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেলেও সমস্যা নেই। যেহেতু এটি এনার্জি ড্রিংক, তাই শরীরে শক্তি জোগাতে পরিমাণমতো রস খাওয়া ভালো।তবে প্রথমেই বেশী রস খাওয়া উচিত নয়।
কীভাবে খাবেন খেজুরের রস:
পুষ্টিবিদদের মতে রাতে বা সকালে রস খেতে পারেন। রস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন। তবে রস যেহেতু খোলা অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এতে জীবাণু থাকতে পারে। এ জন্য রস হালকা আঁচ দিয়ে বা ফুটিয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া রস জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করে খেতে পারেন।
কারা খাবেন না ?
যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা খেজুরের রস এড়িয়ে যাবেন। এতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার জন্য সুগারের রুগিদের খেজুরের রস বেশী না খাওয়া ভালো।