কেরালা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়,দলবদল করলে জনপ্রতিনিধিদের নতুন করে জনগণের রায় নিতে হবে:

Newsbazar24:বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলবদল জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাধারণ ব্যাপার।। দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে অনায়াসে অন্য দলে নাম লেখাচ্ছেন নিজের আখের গোছাবার জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সৌজন্যতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দলবদলু নেতা তাঁর পদ ছাড়েন না। আর শাসক দলে নাম লেখালেতো পোয়া বারো। তার দলীয় পদ থেকেই যায়। এবারে একই ধরনের এক ঘটনায় কেরালা হাইকোর্ট জানাল, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক আনুগত্য বা দল বদলালে অবশ্যই পদত্যাগ করে জনগণের রায় নতুন করে নিতে হবে।
কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি পি ভি কুনহিকৃষ্ণণের অভিমত, গণতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে রাজনৈতিক দল বদল করতে চাইলে জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই পদত্যাগ করে ভোটে দাঁড়াতে হবে। ভোটে দাঁড়ানোর সময় জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে এই পদক্ষেপ করতেই হবে। না হলে তা জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। এটাই গণতান্ত্রিক নৈতিকতা। কেরালার কুথাটুকুলাম নগর সভার এক মহিলা কাউন্সিলরকে হেনস্থার অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনও প্রার্থীর জয় ইভিএম বা ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ভয় দেখিয়ে বা অস্ত্রের ব্যবহার করে করে নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাহায্যেই হারজিত নির্ণয় হবে। এক্ষেত্রে দুই পক্ষই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের সামনে না গিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এলডিএফ ও ইউডিএফ-এর সমালোচনা করে মন্তব্য আদালতের।
প্রসঙ্গত, ওই পুরসভায় ক্ষমতাসীন এলডিএফ-এর টিকে থাকা সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের ভোটের উপর নির্ভরশীল ছিল। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষের আসন সংখ্যা ছিল সমান সমান।