প্রলয় চক্রবর্তী ( নাগাল্যান্ড) ঃ গুগুলের কল্যাণে এখন বেশ জনপ্রিয় ফল কিউই। এক কথায় বাজারের অন্যান্য ফলের তুলনায় কিউই-র চাহিদা এখন সব সময় বেশি থাকে। যা ফল চাষিদের জন্য খুবই ভাল লক্ষণ।
E-ক নজরে – প্রতি ১০০ গ্রাম কিউয়ি ফলে আপনি যা পাবেন – এনার্জি- ৬০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট- ১৪.২৩ গ্রাম, শর্করা- ১০.৯৮ গ্রাম, খাদ্যআঁশ- ২ গ্রাম, ফ্যাট- ০.৫৬ গ্রাম, প্রোটিন- ১.২৩ গ্রাম, থায়ামিন- ০.০২৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন- ০.০৪৬ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন- ০.২৮ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬- ০.০৫৭ মিলিগ্রাম, ফোলেট- ৩৪ আইইউ, ভিটামিন C – ১০৫.৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন E- ১.৪৫ আইইউ, ভিটামিন K – ৫.৫ আইইউ, ক্যালসিয়াম- ২০ মিলিগ্রাম, আয়রন- ০.২৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম- ১৪ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ- ০.০৫৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস- ২৯ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম- ৩১৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম- ৩ মিলিগ্রাম এবং জিংক- ০.১০ মিলিগ্রাম।তবে এই ১০০ গ্রাম খালি খাবার যোগ্য অংশ ধরতে হবে |
ভাল মুনাফা অর্জন –
কিউই চাষে প্রথমেই পুরো টাকা খরচ করতে হবে না । আপনি অল্প টাকা এই চাষে লগ্নি করে চাষ শুরু করলে পরবর্তীতে ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন স্কিম এবং প্রধানমন্ত্রী মাইক্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রি আপগ্রেডেশন স্কিমের আওতায় ১০ লাখ পর্যন্ত ভর্তুকি, প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সুবিধাও পেয়ে যাবেন।
কিউই এর উপকারিতা
কিউই এর রঙ এবং চুলের মতো বাইরের স্তরটিও মানুষকে বেশ আকর্ষণ করে। কিউইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে। এটি পটাসিয়াম এবং ফোলেটের মতো পুষ্টির ভাণ্ডারও বটে ।কিউই-র স্বাদ টক মিষ্টি, এই ফল শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা যেকোনো সংক্রমণে কিউই খেলে অনেকটাই ভালো কাজ করে। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রভাবে কিউই-র চাহিদা অত্যাধিক হারে বেড়ে গেছে।