অভিজিৎ লুইস সরকার, কৃষ্ণ নগর (news bazar24) : বুধবার ভোর হতে না হতেই কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন মণ্ডপে শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনা। ঢাকের তাল আর মন্ত্রোচ্চারণে চলছে জগদ্ধাত্রী দেবীর পুজো। এক কথায় ভিড় উপচে পড়েছে চাষাপাড়ায় ‘বুড়িমা’কে পুজো দেওয়ার জন্য।উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় মানুষ।
কৃষ্ণনগরের অন্যতম পুজা গুলির মধ্যে চাষাপাড়ার বুড়িমা পুজো এবার ২৪৭ বছরে পা দিয়েছে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পুজো কমিটির লোকজন বেশ কয়েক কেজি সোনার গয়না পড়িয়ে সাজিয়েছেন বুড়িমাকে।
এক কথায় “প্রতিবছরই বুড়িমার গয়নার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বুড়িমাকে মানত করে অনেকেই সোনার গয়না পড়িয়ে থাকেন।আর সেই গয়নাতেই প্রতিবছর নতুন নতুন সাঁজে সেজে ওঠেন বুড়িমা। পুজা কমিটির এক সদস্যের কথায়, বুড়িমার গয়নার পরিমাণ কত, তা সঠিকভাবে কেও বলতে পারবে না।কারন এত গয়না মানুষ দিয়ে থাকেন তা সব পড়ানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর দর্শন পেতে এবং পুজো দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সকাল থেকে সারাদিনই মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত।
বলা বাহুল্য, ‘বুড়িমা খুবই জাগ্রত বলে মানুষের বিশ্বাস। এই পুজোর সঙ্গে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে।” তবে এবারও হরেক থিমের বৈচিত্র এবং বাহারি আলোকসজ্জা-সহ পুজো মণ্ডপের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকেও দুর্গা পুজার মত অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
তাঁতিদের ভুমিকা নিয়ে এবার বিশেষ অনুষ্ঠান রেখেছে জজকোর্ট পাড়া বারোয়ারি পুজো কমিটি। শিউলি ফুলের বোঁটা রংয়ের প্রতিমা তাঁতিপাড়া বারোয়ারি পুজোয়।
খালি এই নয়, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজ রাজেশ্বরীর পুজোকে ঘিরেও রয়েছে মানুষের বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও বৌবাজার, তবে থিমের চাকচিক্যের মধ্যেও বুড়িমার জনপ্রিয়তা এখনও শীর্ষেই। আর গোটা কৃষ্ণনগর বলতে কাঁঠালপোতা, বাঘাডাঙা, বেলেডাঙা, চকেরপাড়া, হাতারপাড়া, কলেজস্ট্রিট, উকিলপাড়া, মালোপাড়া, আনন্দময়ীতলা, ঘূর্ণি, নাজিরা পাড়া, ষষ্ঠীতলা, নতুন সড়ক, সেন্ট্রাল ক্লাব, রথতলা পাড়া, অঞ্জনা পাড়া বারোয়ারিগুলিতেও ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন ক্লাবে থাকছে বিভিন্ন সংস্কৃতি মূলক অনুষ্ঠান ।