পুলিশকে বলবো ২৪ ঘন্টা নিরব হয়ে যান তৃনমূল পার্টির নেতারা একটাও বার হতে পারবে না”কংগ্রেসের যোগদান সভা থেকে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ প্রাক্তন বিধায়কের,যোগদান সভাকে ভুয়ো বলে দাবি তৃণমূলের |
হরিশ্চন্দ্রপুর,০৮ মার্চ: (NEWS BAZAR24 )
পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তৃনমূল দলটি টিকে আছে একমাত্র পুলিশের উপর ভর করে,পুলিশকে বলবো ২৪ ঘন্টা নিরব হয়ে যান তৃনমূল পার্টির নেতারা একটাও বার হতে পারবে না,তারা নিজেরাই লড়াই করে মরবে।পুলিশের লাঠি খাব,জেলে যাব,রক্ত দিতে হয় রক্ত দিব তবুও বুথ লুঠ করতে দিব না তাতে যা করতে হয় করব”- সাধারন সভা থেকে প্রকাশ্যে তৃনমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম।
জানা যায়,বুধবার ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়িয়ালীতে সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সভা ও যোগদান কর্মসূচি।এদিনের এই যোগদান কর্মসূচি তে মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় পাঁচ শতাধিক তৃনমূল কর্মী হরিশ্চন্দ্রপুর-৪৬ বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের কংগ্রেসের সভাপতি আবুল কাশেমের হাত ধরে যোগদান করেন।মাস দুয়েক পরেই রয়েছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই যোগদান কে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।তৃনমূল এই যোগদানকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন।
এদিনের এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম,হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ নং ব্লক সভাপতি আবুল কাশেম ও বিমান বিহারি বসাক,প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজহার মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান চৌধুরী,হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার যুব কংগ্রেসের সভাপতি আমিরুল ইসলাম,জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
কংগ্রেস নেতা জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লক এলাকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা এমনকি এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেসের উপর মানুষ ক্ষিপ্ত।আজ এরই প্রতিফলন ঘটেছে কংগ্রেসের এই সভায়।এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ এদিন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাবে।যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি মানতে নারাজ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।তারা এদিকে ভুয়ো যোগদান বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূলের যুব নেতা তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল আলম জানান,ওই সভায় তো ৫০০ জন লোকই ছিল না।তাহলে ওরা কিভাবে ৫০০ জন লোককে কংগ্রেসের যোগদান করালো।কংগ্রেস একটি নিজে দুর্নীতিপরায়ণ দল।কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন ওদের একাধিক মন্ত্রী জেল খেটেছে দুর্নীতির দায়ে।ওদের মুখে দুর্নীতির প্রতিবাদ মানায় না।