Tuesday , 15 August 2023 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিপর্ব সমাপ্ত

প্রতিবেদক
kartik pal
August 15, 2023 12:54 am

Newsbazar 24::আগামীকাল ১৫ আগস্ট, মঙ্গলবার, দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকে ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রায় ১,৮০০ আমন্ত্রিত অতিথিরা ঐ অনুষ্ঠান সেখানে উপস্থিত থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন।
মোদী প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ঐতিহাসিক লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে তাঁর প্রথাগত ভাষণ দেবেন। এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উল্লেখযোগ্য দিকটি হল, ‘অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০২১-এর ১২ মার্চ গুজরাটের আমেদাবাদে সবরমতী আশ্রম থেকে এই অমৃত মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। দেশে ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য এ বছর বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছরের অনুষ্ঠানগুলিতে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি রূপে যে ১,৮০০ মানুষ সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের পত্নীরাও। জন-অংশীদারিত্বের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গীকে অনুসরণ করে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বিশেষ অতিথিদের মধ্যে থাকছেন দেশের ৬৬০টিরও বেশি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, কৃষি উৎপাদক সংস্থা ও সংগঠনের ২৫০ জন কৃষক প্রতিনিধি এবং ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি কর্মসূচি’ তথা ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’র ৫০ জন অংশগ্রহণকারী। নতুন সংসদ ভবন সহ কেন্দ্রীয় বড় বড় প্রকল্প রূপায়ণের সঙ্গে যুক্ত ৫০ জন শ্রমজীবীও উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি রূপে। উপস্থিত থাকবেন, ৫০ জন করে খাদি কর্মী এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মীরাও। এঁদের মধ্যে অনেকেই ‘অমৃত সরোবর’ এবং ‘হর ঘর জল যোজনা’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ৫০ জন শিক্ষক ও সেবাকর্মী এবং
মৎস্যজীবীদের ৫০ জন করে প্রতিনিধিও আমন্ত্রিত অতিথির আসন অলঙ্কৃত করবেন এদিনের অনুষ্ঠানগুলিতে। বিশেষ অতিথিদের কয়েকজন আবার জাতীয় যুদ্ধ স্মারক পরিদর্শনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী অজয় ভাটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিলিত হবেন।
লালকেল্লার ঐ অনুষ্ঠা্ন প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৭৫ জন করে দম্পতিকে তাঁদের প্রথাগত তথা ঐতিহ্যমণ্ডিত পোশাকে সজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতীয় যুদ্ধ স্মারক, ইন্ডিয়া গেট, বিজয় চক, নয়াদিল্লি রেল স্টেশন, প্রগতি ময়দান, রাজঘাট, জামা মসজিদ মেট্রো স্টেশন, রাজীব চক মেট্রো স্টেশন, দিল্লি গেট মেট্রো স্টেশন, আইটিও মেট্রো গেট, নওবতখানা এবং শীষগঞ্জ গুরুদ্বার সহ ১২টি বিভিন্ন স্থানে সেলফি পয়েন্টেরও ব্যবস্থা থাকছে। এই সেলফি পয়েন্টগুলি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির আদলে স্থাপন করা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক MyGov পোর্টালটিতে একটি অনলাইন সেলফি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। যে ১২টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই সেলফি পয়েন্টগুলি স্থাপিত হয়েছে, তার একটি অথবা অনেকগুলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। পরে সেগুলি MyGov পোর্টালটিতে আপলোডের মাধ্যমে এই সেলফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করবেন। স্থাপিত প্রতিটি সেলফি কেন্দ্র থেকে একজন করে মোট ১২ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লালকেল্লায় আগমনের মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্ রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট এবং প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামেন। এরপর, প্রতিরক্ষা সচিব দিল্লি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধীরাজ শেঠকে পরিচয় করিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভাট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাবেন অভিবাদন গ্রহণ মঞ্চে। সেখানে ভারতের তিন বাহিনী এবং দিল্লি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী এরপর পরিদর্শন করবেন গার্ড অফ অনার।
প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার জানানোর জন্য যে টিম গঠন করা হয়েছে তাতে থাকবেন দেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও দিল্লি পুলিশের একজন করে অফিসার এবং ২৫ জন করে সেনা-কর্মী। প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানোর সমগ্র প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সমগ্র গার্ড অফ অনার অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মেজর বিকাশ সাঙ্গোয়ান। ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে আবার পৃথক পৃথকভাবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলির পরিচালনার দায়িত্বেথাকবেন যথাক্রমে মেজর ইন্দ্রজিৎ সচিন, এম ভি রাহুল রমন এবং স্কোয়াড্রন লিডার আকাশ গঙ্ঘাস। অন্যদিকে, অভিবাদনে অংশগ্রহণকারী দিল্লি পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব তথা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডিশনাল ডিসিপি সন্ধ্যা স্বামী।
গার্ড অফ অনার পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার দিকে এগিয়ে যাবেন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং,প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ অজয় ভাট, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান, ভারতীয় স্থলসেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, নৌ-সেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরি। প্রধানমন্ত্রীকে লালকেল্লার প্রাকারের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন দিল্লি অঞ্চলের জিওসি। এরপর লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পতাকা উত্তোলনের পর ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাটিকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন তথা সম্মান প্রদর্শন করা হবে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একজন জেসিও এবং ২০ জন অন্যান্য পদমর্যাদার সেনাকর্মী ব্যান্ডের মাধ্যমে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। জাতীয় পতাকাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানোর সময় সমগ্র ব্যান্ডটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নায়েব সুবেদার যতিন্দর সিং।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করবেন মেজর নিকিতা নায়ার এবং মেজর জেসমিন কাউর। সে সময় ২১টি গান স্যালুটও দেওয়া হবে। এটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিকাশ কুমার এবং গান পজিশন অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন নায়েব সুবেদার (এআইজি) অনুপ সিং।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে পতাকাকে সম্মান ও অভিবাদন প্রদর্শনের জন্য ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং দিল্লি পুলিশের পাঁচজন আধিকারিক এবং ১২৮ জন অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। তিন বাহিনী এবং দিল্লি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মেজর অভিনব ডেথা।
জাতীয় পতাকাকে সম্মান ও অভিবাদন প্রদর্শনকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন মেজর মুকেশ কুমার সিং। আবার, নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার হরপ্রীত মান এবং বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে স্কোয়াড্রন লিডার শ্রেয় চৌধুরি। অ্যাডিশনাল ডিসিপি শশাঙ্ক জয়সওয়াল পরিচালনা করবেন এই পর্বে অংশগ্রহণকারী দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিদের।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরপরই অনুষ্ঠানস্থলে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে। এজন্য বাহিনীর দুটি উন্নতমানের লাইট হেলিকপ্টার মার্ক-III ‘ধ্রুব’কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুষ্পবৃষ্টির পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষ হলে জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র পক্ষ থেকে জাতীয় সঙ্গীত উপস্থাপনা করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্কুলের ১,১০০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত এনসিসি প্রতিনিধিদল জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। সেখানে এনসিসি প্রতিনিধিরা তাঁদের ইউনিফর্মে সজ্জিত থেকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। লালকেল্লায় ফুল দিয়ে তৈরি একটি জি-২০-র লোগো থাকবে।
**** পিআইবি সূত্রে প্রাপ্ত*****

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কলকাতা

আপনার জন্য নির্বাচিত

Malda:জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের সমর্থনে সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিকী অনশনে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত

ghatal news: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাটালে পর পর ধাক্কা দিল ইঞ্জিন ভ্যান

শব্দ বিহীন ড্রোন ব্যবহার করে দুটি আইইডি বিস্ফোরণ। প্রথমে বিস্ফোরণেই (Blast) উড়ে যায় বাড়ির ছাদ

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঘুরে আসুন মহারাষ্ট্রের কোলাদ গ্রামে 

বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে ভারতে 

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত্র ২২১৬, মালদায় কত ? স্বাস্থ্য কর্মীদের রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ করানোর পরামর্শ কেন্দ্রের

গঙ্গায় স্নান করতে নেমে এক কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু।।

খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষিকাকে ফাঁসিতে ঝোলাল চিন

আজ বুধবার বিকেল ৪.৩০ টে থেকে ৬ টা মধ্যেই পশ্চিম বঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা