এবার ফারাক্কা, নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ৫৯ দিনেই দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

news bazar24: ফারাক্কা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৫৯ দিনের মধ্যে দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত। ফারাক্কার ঘটনায় নিহত নাবালিকা মেয়ের পরিবার জয়নগর ঘটনার চেয়েও দ্রুত বিচার পেলো । বৃহস্পতিবার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অমিতাভ মুখার্জি মাত্র ৫৯ দিন পর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় ১০ বছরের নাবালিকা।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর ওই এলাকার প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদারের বাড়ি থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তেজিত জনতা ক্রোধে দীনবন্ধুকে প্রচণ্ড মারধর করে। হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর, ফারাক্কা পুলিশ পকসো আইনের 6 ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, শুভজিৎ হালদার নামে আরও এক যুবক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ১৯ অক্টোবর তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপারিনটেনডেন্ট আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। ফারাক্কা থানার অফিসাররা ২১ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চার্জশিট দাখিল করেন।

তার ভিত্তিতে মোট ৩১ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অমিতাভ মুখার্জি ৬৫, ৬৬, ১৩৭, ১৪০, ১০৩, ২৩৮ ধারায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় দীনবন্ধু হালদার ও শুভজিৎ হালদারকে ৫৯ দিনের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করেন।

সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার দিন নাবালিকাকে ফুল দেবার প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায় দীনবন্ধু।” সেখানে দীনবন্ধু ও শুভজিৎ নাবালিকার মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায়।

তাদের পরিকল্পনা ছিল রাতের আঁধারে ফারাক্কার একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে দেহ ফেলে দেবে। এই মামলায় প্রথমবার রাজ্যে ড্রোন ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে । শুভজিতের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ নেই। অন্য সব চার্জ তাদের উভয়ের জন্য একই। যে চারটি ধারায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অন্যদিকে দীনবন্ধু হালদারের আইনজীবী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হবে। আদালতের রায় জেনে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৬২ দিন পর অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।