Newsbazar 24:বাংলা তথা বাঙালির গর্ব নোবেল জয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গে সাংগঠনিক সফর শেষে কলকাতা ফেরার পথে মালদা টাউন স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, এই হেরিটেজের মর্যাদা বাংলা তথা ভারতের গর্ব। তিনি বলেন এই গর্বের স্থানে যেন তৃণমূলী কালচারের ছোঁয়া না লাগে। মুখ্যমন্ত্রী এর পাশে আরো বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ঘোষণা করেছেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সময় অশান্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে, এমনকি সহ উপাচার্যকে ঠিকমত কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এগুলো যেন আর না হয়। কারন এই হেরিটেজের মর্যাদার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন আগামী দিনে যেন বিশ্বের কাছে এটি প্রেরণার স্রোত হয়ে থাকতে পারে সেটাই আমরা কামনা করি।। হেরিটেজ ঘোষিত হওয়ার ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসবেন। দেখতে হবে এখানেই যেন তোলাবাজি না হয়। তিনি আরো বলেন যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয় হেরিটেজ ঘোষিত হয়েছে একে সুরক্ষিত রাখা একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রের কর্তব্য তেমনি পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কর্তব্য।
প্রসঙ্গত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে। রবিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে লিভিং হেরিটেজ-এর তকমা দিল ইউনেস্কো। যা বিশ্বে এই প্রথমবার। সাধারণত কোনও স্মৃতিস্তম্ভকে ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ সম্মান দেওয়া হয়। এই প্রথম সক্রিয় অবস্থায় কোনও বিশ্ববিদ্যালয় সেই তালিকায় জায়গা পেল।
ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলায় লেখেন, ‘‘একথা জেনে আনন্দিত হলাম যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন ও ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত রূপ শান্তিনিকেতন উৎকীর্ণ হয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব পরম্পরা তালিকায়। সব ভারতীয়ের কাছেই এ এক গর্বের মুহূর্ত।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একে সমর্থন করে গিয়েছেন বাংলার মানুষ।। এখন তাকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন তাদের তিনি কুর্নিশ জানান ।‘জয় বাংলা,গুরুদেবকে প্রণাম।’’