উপচে পড়া ভিড় ব্যান্ডেল চার্চে ! পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এই উৎসবে মাতোয়ারা হুগলির বিভিন্ন জায়গা

news bazar24 ঃ বড়দিনের ছুটি উপভোগ করতে সকাল থেকেই ভিড় জমেছে ব্যান্ডেল চার্চে। ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন কোনো এলাকায় তিল রাখার জায়গা নেই বললেই চলে । গেটের সামনের অংশ হোক বা লাগোয়া মাঠ, এদিন পর্যটকদের দখলে ছিল রাস্তা। গির্জা সংলগ্ন মেলায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকেই চলছে মেলা, সেলফি তোলা। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত লম্বা রাস্তায় ভিড় ছিল। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ ও পুলিশ কর্মীদের।

বুধবার জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন ব্যান্ডেলে। তাদের অনেকেই ব্যান্ডেল চার্চ ছাড়াও ইমামবাড়া, দেবানন্দপুর, হংসেশ্বরী মন্দির এবং লাহিড়ীবাবর মন্দির দেখার পরিকল্পনা করেছিলেন। বাংলা বড়দিনও উদযাপন করছে। রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন গির্জার পাশাপাশি জেলার তিনটি গির্জাকেও বড়দিনের সাজে সাজানো হয়েছে। চন্দননগর চার্চ, শ্রীরামপুরের সেন্ট ওলাভ চার্চ এবং হুগলি জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ বা ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা।

বড়দিনের সময় ব্যান্ডেল চার্চ রঙিন আলো দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ব্যান্ডেল চার্চ ভারতের প্রাচীনতম চার্চগুলির মধ্যে একটি। 425 বছর আগে নির্মিত, এই পর্তুগিজ স্থাপত্যটি সারা বছরই দেখতে হবে। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে আসেন। আর বড়দিনে ব্যান্ডেল চার্চ প্রাঙ্গণে পর্যটকদের ভিড় থাকে। ভিড়ের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে, গির্জার গেট 25 ডিসেম্বর এবং 1 জানুয়ারি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বড়দিন উপলক্ষে প্রধান ফটকের সামনে একটি গোয়ালঘর তৈরি করা হয়। বেথলেহেম ক্রিবের দৃশ্য তৈরি হয়। বাইরে থেকেও পর্যটকদের ভিড় ছিল ওই গোয়ালঘরের সামনে।

তাছাড়া চার্চ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত মেলাটি ছিল পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও, রাজ্য পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর পৌরসভা আয়োজিত শ্রীরামপুর হেরিটেজ অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে শ্রীরামপুরে উৎসবের জাঁকজমক কয়েকগুণ বেড়েছে। একসময় গঙ্গার পশ্চিম তীরে ডেনিসের উপনিবেশ ছিল, অনেক স্থাপত্য এখনও সেই ইতিহাস বহন করে। এখানে রয়েছে ডেনিস গভর্নর হাউস, ডেনিস ট্যাভার্ন, শ্রীরামপুর কলেজ, উইলিয়াম কেরির সমাধি, সেন্ট ওলাভ চার্চ।

এছাড়া মহেশ জগন্নাথ মন্দির, রাধাবল্লভ মন্দির রয়েছে। প্রতি বছর বড়দিন উপলক্ষে সেন্ট ওলাভ চার্চকে সাজানো হয়। বড়দিন পালিত হয় মহা আড়ম্বরে। উৎসবে যোগ দেন বহু মানুষ। গির্জার সামনের অংশ সাজানো হয়েছে নানা ধরনের আলোয়। উৎসব উপলক্ষে এনএস অ্যাভিনিউ, সেন্ট ওলাভ চার্চের সামনের বিভিন্ন স্থান আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। 21শে ডিসেম্বর থেকে উৎসব শুরু হয়। চলবে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবের দিনগুলোকে আরও বর্ণিল করে তুলতে আয়োজন করা হয়েছে সংগীত পরিবেশনার। থাকবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।