আর জি কর কাণ্ডে সন্দীপ অভিজিতের জেল ফের জেল হেফাজত ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

Newsbazar24:আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে পেশ করা হয় শিয়ালদহ কোর্টে। ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ও দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ রয়েছে উভয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, টালা থানায় এই মামলা সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো তথ্য বানিয়ে সেগুলি বদল করা হয়েছিল। দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য তাঁদের হাতে উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি করা হয়। ইতিমধ্যে টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিন আদালতে জামিনের আবেদনে টালা থানার প্রাক্তন ওসি বলেন,আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে। আমাকে ‘অন্তর্বর্তী জামিন দিন। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট পালিয়ে যাব না। যেকোনও শর্তে জামিন চাইছি। এদিন
শিয়ালদহ আদালতে অভিজিত বলেন, আমাকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একজন ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। আমি দেরিতে এফ আই আর করার ক্ষেত্রে যদি ভুল হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সম্মতি নিতে হয়। আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে? তথ্য আসবে তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করবে’? ওসি অভিজিৎ মন্ডলের আইনজীবী শুনানিতে বলেন দেরিতে এফআইআর করার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ঠিক। যে অভিযোগ অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটি জামিনযোগ্য বলেও দাবি করেন আইনজীবী।
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী শুনানিতে জানান, দেরিতে এফআইআরের অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা ঠিক নয়। তার যুক্তি, ৯ অগাস্ট ঘটনার কথা জানতে পেরে সকাল ৯টা ৫৮মিনিট নাগাদ টালা থানার তৎকালীন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সন্দীপ। এর পর দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালের সুপারের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ ঠিক নয়।
সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা শুনানিতে বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্ট অনেক কিছু জানিয়েছি। আগামী 30 তারিখ আবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাব। আমাদের হাতে ম্যাজিক কিছু নেই। আমার অপেক্ষা করছি। সিসিটিভি, মোবাইল সব কিছু বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার জন্যে অপেক্ষা করছি। তাই জন্যে এখন আমরা জেল হেফাজত চাইছি। তারপর আবার প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে’।
সিবিআইয়ের তরফে দু’জনকেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর জন্য আবেদন জানানো হয়। দুই অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।