আর জি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অবশেষে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষ

Newsbazar24:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার নাটকীয় মোড়। একদিকে সন্ধ্যায় যখন কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে ঠিক তখনই অন্যদিকে সিবিআই গ্রেফতার করলো টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। একই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।এদিকে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হল তিনজন।
শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে টালা থানার ওসিকে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। প্রায় ৭ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
সিবিআই সূত্রে জানা যায়, টালা থানার ওসি ভিন্ন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছেন। এর আগে ৬ বার অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করেছিল সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ লোপাটে অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে অপসারিত করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই টালা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। এফআইআর দায়ের হওয়া নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এই ওসির গাফিলতির অভিযোগ করেন আইনজীবীরাও। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল পরবর্তী শুনানিতে ওই ওসিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
এরপরেই গত ৫ সেপ্টেম্বর ‘বুকে ব্যথা’র কথা বলে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হতে যান অভিজিৎ বাবু। কিন্তু হাফ ডজন হাসপাতাল ওনাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ভবানীপুরের এক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। তারপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা এড়াতেই কি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন? অন্যদিকে, একই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারই আলিপুর আদালতে তোলা হবে অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকেও।
প্রসঙ্গত আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।