আরজিকরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রহস্য আরো ঘনীভূত, ক্ষমতাশালী কোন ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে কি উঠছে প্রশ্ন?

আরজিকরের তরুণী ডাক্তারের নৃশংস ঘটনার পর এক দিন কেটে গেলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পেরেছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রহস্য কিন্তু পুরোটা উদঘাটিত হয়নি। বরং এ কথা বলা যায় রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে। কারণ মৃতার পরিবার-পরিজন সহ সহকর্মীদের আশঙ্কা এর পিছনে রয়েছে কোন বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তাকে হয়তো আড়াল করার চেষ্টা চলছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের সিমেন ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে আরও একটি ব্যক্তির সিমেন! শুধু তাই নয়, মৃতার দেহে ১১টির বেশি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণও। আঘাতের চিহ্ন ছিল বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ আরও একাধিক জায়গায়। যা একজন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জানান, ‘অপরাধের ধরন এবং একাধিক আঘাতের চিহ্ন থেকে এটা পরিষ্কার,মৃতার উপরে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তরুণী চিৎকার-চেঁচামেচি বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এক জন এই ঘটনা ঘটালে সে হয়তো চিৎকার করতে পারতেন।কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি।’এক্ষেত্রে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশ কিন্তু এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত সঞ্জয়কেই একমাত্র অপরাধী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাহলে মেডিকেল পড়ুয়াদের একাংশের প্রশ্ন, পুলিশ কি তাহলে কাউকে আড়াল করতে চেষ্টা করছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিল যে আরজি কর হাসপাতালে অবাধ ঘোরাফেরা করত। সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও, ঠিকমতো কাজে উপস্থিত হতেন না। সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়া সত্বেও সে পুলিশ ব্যারাকে থাকত। বাড়ি ভবানীপুরে হলেও, উল্টোডাঙায় ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকতে শুরু করেন।