আমেরিকা এবং মেক্সিকোর ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ পাওয়া গেলো জয়নগরে। আতঙ্কে ভারতের প্রাণীবিশেষজ্ঞরা

 news bazar24:  নাম ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ’। যাদের আগে মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা এবং মিসিপ্পি নদী ছাড়া কোথাও পাওয়া যেতনা । এবার সেই রাক্ষুসে কচ্ছপ’এর সন্ধান পাওয়া গেলো উত্তর ২৪ পরগণা জেলার জয় নগরে । মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা এবং মিসিপ্পি নদীর ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ টিকে ’ আজ সকালে, জয়নগর থানার চালতাবেড়িয়া হাই স্কুলের পাশে প্রথমে দেখা যায়। প্রথমে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপটিকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা। এই কচ্ছপ  জলজ প্রাণী, এমনকি কুমিরের বাচ্চাকেও খেয়ে নেয়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটির বয়স ৫থেকে ৬ মাস।এবং এই প্রজাতির কচ্ছপ কম করে ২৫০ বছর বেঁচে থাকে । জানা গিয়েছে, পর্যবেক্ষণে রাখার পর ঝড়খালি বন্যপ্রাণী উদ্য়ানে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে আমেরিকা থেকে জ্যনগরে এই ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ’ কি করে এল তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ী প্রাণীবিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে পরিবেশের ভারসম্য বজায়ের দিকটিও ভাবাচ্ছে তাঁদের।

 কেন ক্ষতিকারক এই রাক্ষুসে কচ্ছপ ?

১) জানা গেছে , পৃথিবীতে মোট যে সাতটি প্রজাতির কচ্ছপ আছে তার মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিকর এই ‘জায়ান্ট টরটোয়েস’ বা ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ’। বিশ্ব জুড়ে ‘রেড ইয়ারড স্লাইডার’ (Red Eared Slider) নামে বিশ্বের কাছে পরিচিত।

২) খুব দ্রুত যেকোনো পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে অভিযোজিত হওয়া ও বংশবিস্তার করার বিশেষ ক্ষমতা রাখে এই কচ্ছপ। শুধু তাই নয়, সামুদ্রিক কচ্ছপের তুলনায় খুব দ্রুত বৃ্দ্ধি ঘটে এদের।

 ৩) এই প্রজাতির কচ্ছপগুলি ওজনে প্রায় ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

 ৪) এই রাক্ষুসে কচ্ছপগুলি দ্রুতহারে মাছ, পোকামাকড় এবং কাদা থেকে কেঁচো, শামুক ইত্যাদি খেয়ে বাঁচে।এমন কি কুমীরের বাচ্চাকেও খাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

৫) এই কচ্ছপ সরীসৃপ প্রাণীদের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া সালমোনেলার একমাত্র বাহক। এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া কেবল প্রাণীদের ক্ষতি করে না, ক্ষতি করে মানুষেরও। এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়াটি। এটি দেহে প্রবেশ করার ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত করে।

কলকাতার দক্ষিণের বিভিন্ন ষ্টেশনে বিক্ষোভ, অবরোধে আটকে ট্রেন। ইট বৃষ্টিতে জখম পুলিশ ভাঙলস,পুলিশের গাড়ি