news bazar24: আমরা কমবেশি সকলেই ধূমকেতুর কথা পড়েছি, বা ধুম কেতুর কথা শুনেছি। ‘হ্যালির ধূমকেতু’ যার মধ্যে একটি অন্যতম ধুমকেতু । নামটি অবশ্য ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডম্যান্ড হ্যালি-র নাম থেকেই এসেছে। এই ধূমকেতুর একটা রোমাঞ্চকর বিশেষত্ব রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডম্যান্ড হ্যালি- মারা যাবার আগে তিনি একরকম ভবিষ্যদ্বাণীই করে গিয়েছিলেন যে ১৭৫৮ সালে ধূমকেতুটিকে আবার পৃথিবীর কাছাকাছি দেখতে পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানী মারা যান ১৭৪২ সালে, আর আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্ববাসী তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যিই দেখতে পায়। এই কারণেই ধূমকেতুটির নামকরণ তাঁর নামেই রাখা হয়েছিল।
এরপর প্রতি ৭৫ বছর অন্তর বেশ কয়েকবার হ্যালির ধূমকেতুকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। শেষ দেখা যায় ১৯৮৬ সালে, সুতরাং আমরা ধরে নিতে পারি ২০৬১ সালে আবার সে আসবে। তবে এই ধূমকেতু কাছে এলে পৃথিবীর ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা সেটা তর্কসাপেক্ষ। তবে মার্কিন রসসাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের জীবন ও মৃত্যুর সাথে এই ধূমকেতুর আশ্চর্য যোগাযোগ লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা শুনলে আপনি হয়ত অবাক হয়ে যাবেন-
মার্ক টোয়েনের জন্ম ১৮৩৫ সালে, যেবার হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর সন্নিকটে দেখা দিয়েছিল। হিসেব অনুযায়ী ৭৫ বছর পর তার ফিরে দেখা দেওয়ায় কথা তো ছিলই। জীবনের প্রান্তবেলায় ১৯০৯ সালে মার্ক টোয়েন মজার ছলেই বলেছিলেন ,”ধূমকেতুর সাথেই আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম। আগামী বছরই আবার ধূমকেতুটি পৃথিবী ঘুরে যাবে। তার সাথে আমিও হয়তো চলে যাব।” আর সেটাই সত্যি হয়েছিল!
পরের বছর ১৯১০ সালে নির্ভুলভাবে হ্যালির ধূমকেতুকে দেখতে পাওয়া যায়। সেই বছরই ২১ এপ্রিল মার্ক টোয়েনের জীবনাবসান হয়।