Newsbazar 24:গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়ার বন্ধ করতে একই দিনে দুই হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। একদিকে দিল্লি যাওয়া আটকাতে, অন্যদিকে স্থগিতাদেশ চেয়েই এই দুই মামলা করেছেন তিনি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি শেষ না হতেই কেন দিল্লিতে মামলা করা হল, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা।
দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েই মামলা করা হয়। শুক্রবার সেই শুনানিতে অনুব্রতর পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে এদিন কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। রেগে গিয়ে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও দেখা হয় তাঁকে। শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে সেই মামলার।
এদিন দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে শুনানি হওয়ার কথা ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু ইডি-র আইনজীবী ও অনুব্রতর আইনজীবীর পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শুনানি শুরু হয় দেরিতে। অনুব্রত মণ্ডলের তরফে দায়ের করা মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি শেষ হওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টে হতে পারে শুনানি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি অনুব্রতর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কলকাতা হাইকোর্টে একই ধরনের মামলার শুনানি শেষ হওয়ার আগেই কেন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা?
পরের শুনানির দিন কবে হবে, তা নিয়ে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল বারবার সওয়াল করতে থাকেন। তা শুনেও রেগে যান বিচারপতি। অনুব্রতর তরফে দাবি করা হয়, যাতে আগামী ৬ মার্চ অর্থাৎ সোমবারই শুনানির দিন ধার্য করা হয়। বারবার একই দাবি জানানোয় রেগে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি।