Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

রাজ্য কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব, নবান্নে হাজিরা ঠিক থাকলেও জেলায় জেলায় হাজিরা অনেক কম

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের ডাকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা, বকেয়া ডিএ-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার রাজ্য সরকারী কর্মচারীসহ, সরকার পোষিত শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। ধর্মঘট রুখতে নবান্নের কড়া নির্দেশ সত্বেও সরকারি কর্মীদের একটি বড় অংশ কিন্তু ধর্মঘটে শামিল
সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এদিন কাজে যোগ দেননি বহু সরকারি কর্মী। বেলা ১১টার পরেও এদিন মহাকরণ ছিল কার্যত শুনশান। বিকাশ ভবন, খাদ্য ভবনের মতো সরকারি দফতরেও কর্মীদের হাজিরা ছিল বেশ কম।
তবে সকাল দশটায় নবান্নে অন্তত কর্মীদের প্রবেশের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও এ দিন নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি।
তবে নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার ভাল হলেও জেলায় জেলায় কর্মচারীদের উপস্থিতি অনেক কম। বিধাননগরেও ময়ুখ ভবনে বিভিন্ন সরকারি দফতর এ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা ছিল। বিকাশ ভবনেও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদেরই সংখ্যা ছিল বেশি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ ছিল। মালদহ, ঝাড়গ্রামের মতো বিভিন্ন জেলায় অফিস টাইম শুরু হওয়ার পরেও রাস্তায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা।
বাঁকুড়ায় জেলা শাসকের দপ্তরের মূল গেটের সামনে ধর্ম ঘটীদের বিক্ষোভ। যারা কাজে যোগ দিতে আসছেন তাদেরকে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান আন্দোলনরত কর্মীদের । কোচবিহারে ও দেখা গেছে একই চিত্র সরকারি কর্মীদের মিছিল। শিলিগুড়ি কলেজের মেনগেট বন্ধ।চুঁচুড়ায় শিক্ষা ভবনের গেট আটকে বিক্ষোভ বিজেপির।
অন্যদিকে এ দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগঠন ডিএসও। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহারের মতো বিভিন্ন জেলায় একাধিক স্কুল নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও খোলেনি বলে অভিযোগ। আসেননি স্কুল শিক্ষকরা। অনেক জায়গায় খোলেনি কলেজের গেটও। কলেজের গেট খোলাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর কলেজে ডিএসওএবং টিএমসিপি-র মধ্যে বচসা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারী, স্কুল শিক্ষকদের সঙ্গে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের বচসা, গন্ডগোলেরও খবর মিলেছে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় ধর্মঘটের সমর্থক একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে
তবে এদিনের এই ধর্মঘট নবান্নের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সকলকে সঠিক সময়ে যেতে হবে। অন্যান্য দফতরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। যথার্থ কারণ ছাড়া কেউ কাজে অনুপস্থিত থাকলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। ছেদ পড়বে কর্মজীবনের একটি দিন।
তবে নবান্নের কড়া নির্দেশিকা উড়িয়েই আজ ধর্মঘটে সামিল সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ।
রাজ্যের এই নির্দেশিকার পাল্টা চিঠিও দিয়েছে কর্মচারী সংগঠন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী যৌথ কমিটির সদস্যরা। ধর্মঘটে অনড় থাকার কথা জানিয়েই চিঠি দেয় এই সংগঠন। অন্যদিকে আজকের এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, ধর্মঘচের পাশে থাকার বার্তা বিজেপিরও।
এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের দাবি,এই সরকার ভয় পেয়েছে। তাই এই চোখ রাঙানি। ধর্মঘট করা কর্মচারীদের আইন স্বীকৃত অধিকার, সেটা সরকার বোধ হয় ভুলে গিয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে ভয় দেখিয়ে ধর্মঘট বন্ধ করা যাবে না।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

Latest News

সম্পর্কিত খবর